শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
টেকনাফে চাকরিকে দায়ী করে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী। তবে এ আত্মহত্যাকে রহস্যজনক বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হোয়াইক্যং রাখাইন পাড়া সংলগ্ন খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাচর পাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আবু বকরের দ্বিতীয় ছেলে ৩ কন্যা সন্তানের জনক নুরুল আলম (২৭)। সে দীর্ঘদিন ধরে খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সে সোমবারও স্কুলে গিয়ে যথানিয়মে স্কুলের সব কক্ষ খুলে দিয়ে একটি কক্ষের ভিতর থেকে দরজা আটকে দেয়।
এদিকে শিক্ষার্থী, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা এসে তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে। তাকে নিয়ে সবাই হতবাক হয়ে আলোচনা করছিল। এমন সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে একটি কক্ষের দরজা আটকানো দেখতে পায়। দরজায় টোকা ও ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় দপ্তরী নুরুল আলম রুমের মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে সে চিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তার একপাশে তার লিখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
চিরকুটে লিখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা, মা, আত্মীয়স্বজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউই দায়ী নয়, আমার চাকরীটা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী’।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী বলছেন- এমন কি হল। চাকরী কেন মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে। এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল উদ্দিন বলেছেন, কেন সে আত্মহত্যা করেছে আমার জানা নেই, তবে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে এসে দেখি এ ঘটনা। পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের
মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ময়নাতদন্ত শেষে বাকী টা বলা যাবে।
ভয়েস/জেইউ।